কই সে’ মানুষ
নাম ধরে না ডেকেও শব্দের মন্থন মন ছুঁয়ে যায়
যাক সে প্রাণান্ত ছুঁয়ে যাক,
পাতার শিরোনামে জেগে থাকে বৃক্ষ বিধুর;
জাগুক সবুজের অমরাবতী জোছনায়
নয়ন ছাড়াও চেয়ে থাকে নয়নতারা
দেখুক সৌন্দর্যের মোহনীয় সুকৃতি চেয়ে চেয়ে
দ্যাখ মন সেই সাথে …
শ্লোক গেঁথে ঝরে পড়ে ক্লান্ত মায়াবী রাত
বুনো পথে রোদের ঝাড় আলুথালু পায়ে দোলে,
সাদা দাগে নদীর বেয়ে চলা আয়ুরেখা-
ওপারে হেঁটে যেতে গেলে ডুবিয়ে দ্যায় অথৈ জল
পদ্ম সায়র – আধো ডুবে আধো ভাসিয়ে রাখে
যে কারো বন্দনায় মত্ত হতেই মেতে থাকে
মাতোয়ারা হ’ মন সেই পথে …
আলোর মত্ততায় মন প্রজাপতি পাখা মেলে
আলো মাখে বিমুগ্ধতায় আকাশের কুমারীত্ব
আলতো হাতে ছুঁয়ে দ্যায় মেঘেদের শুভ্রতা
আবির মাখা পার্বণের স্বচ্ছ সারিবাঁধা মুখ
মন প্রিয় মুখ নে’ চিনে …
আমদানিকৃত ঋতু –
জন্মদান করে মেঘ মল্লার নিত্য নতুন অবয়ব
শীতের কাঁধের ওপর বসন্ত গেরুয়া বসনের হাত রাখে আনমনে,
গলা বেয়ে সর্পিল পথে নাম নেমে যায় রুদ্রাক্ষমালা অচেনা বাঁকে,
আমি নামের নেকলেসের জপমালায় জুড়ে দিই হজরে আসোয়াদ-
ফেরি করে বেচে দিই বয়সের পেরেকে গাঁথা হাজার বছরের পুরনো ক্রুশ,
মাটির আড়ালে মৃত্যুর বিনিময় হয়ে গেলে,ব্যয় করা দেহকে
মাটিতেই পুতে রাখে মানুষেরা
যখন সে শুধুই লাশ,
নয় কোন মেয়ে বা পুরুষ
মন চিনতে পারলি কি, কই সে ‘মানুষ’ ……